ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ বিপুল বিজয় অর্জন করেছে। ২৮টি কেন্দ্রীয় পদে প্রার্থীরা লড়াই করলেও এর মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছে এই প্যানেল।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।
সহ–সভাপতি (ভিপি) পদে মো. আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন এস এম ফরহাদ।
ফল ঘোষণার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ডাকসু ভিপি ও জিএস আসলে কী কী ক্ষমতা ও সুবিধা ভোগ করেন।
জানা গেছে, নির্বাচিত ভিপি ও জিএস কোনো মাসিক বেতন বা সম্মানী পান না। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা সিনেট–এর সদস্য হন। সেখানে ঢাবি‘র হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে তারা বক্তব্য রাখতে পারেন, শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে পারেন এবং স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াতেও তাদের সম্পৃক্ততা থাকে।
এছাড়া, নবনির্বাচিত ভিপি ও জিএস–এর জন্য ডাকসুতে রুম বরাদ্দ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনসহ বড় বড় কর্মসূচি কিংবা জরুরি পরিস্থিতির বৈঠকেও তারা প্রতিনিধিত্ব করেন।
অর্থনৈতিক সুবিধার দিক থেকে ভিপি ও জিএস আলাদা ভাতা না পেলেও, সিনেট বৈঠকে অংশ নিলে একটি নির্দিষ্ট সম্মানী পান। পাশাপাশি ১ বছরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এককালীন অর্থ বরাদ্দ থাকে। ভিপির জন্য ৫ লাখ ও জিএসের জন্য ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকে। এ অর্থ মূলত চা–নাস্তা, সাংগঠনিক কাজ ও প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যবহার করা হয়।
এসএ