চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার’ (ডি.লিট) ডিগ্রি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৪ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত জমকালো সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। আরও উপস্থিত ছিলেন উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘শিক্ষা শুধু চাকরির জন্য নয়, এটি জীবন বদলের জন্য। আমি আশা করি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু নিজের নয়, সমাজ ও দেশের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবেন।‘
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শুধু উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতিগঠনের কারখানা। আমরা গর্বিত যে, এ প্রতিষ্ঠান থেকে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করছেন। বিশেষত, ড. ইউনূসের মতো একজন গুণী ব্যক্তিকে আজ ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।‘
সমাবর্তনে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৪২ জন পিএইচডি, ৩৩ জন এমফিল এবং বাকি শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উত্তীর্ণ হন। ডিগ্রি গ্রহণের জন্য সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত বাসে করে ক্যাম্পাসে আসেন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে আসেন পরিবারের সদস্যরাও। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে, এরপর দ্বিতীয় সমাবর্তন ১৯৯৯, তৃতীয় ২০০৮ এবং চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। পঞ্চম সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার গৌরবময় এক অধ্যায়ের নতুন সংযোজন করল।