২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় মার্কিন ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। কারণ তিনি প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে, তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে এসব মামলার ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।
অর্থ প্রদানের মামলা:
নিউ ইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে একটি অ্যাডাল্ট ফিল্ম স্টারকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য অর্থ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। যদিও তার বয়স ও ‘প্রথম অপরাধী’ হওয়ায় জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ায় মামলাটির কার্যক্রম আরও পিছিয়ে যেতে পারে।
বিদ্রোহ উসকানি মামলা:
২০২০ সালের নির্বাচনের পর পরাজয় মেনে নিতে না পেরে নির্বাচনি ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই মামলায় রেহাই পেতে পারেন বলে আইনজীবীরা মনে করছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা চালানো যায় না।
গোপন নথি সংরক্ষণ মামলা:
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর গোপনীয় নথি যথাযথভাবে হেফাজতে না রাখার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রয়েছে। বিচারক এই মামলা খারিজ করেছেন এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটির ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। তার দায়িত্বের সময় এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকতে পারে।
জর্জিয়ার নির্বাচনি মামলা:
জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন এটি স্থগিত বা বিলম্বিত হতে পারে। আইনজীবীদের মতে, দায়িত্বকালীন অবস্থায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলা চালানো সম্ভব নাও হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের মামলাগুলো স্থগিত করা হতে পারে। কেননা, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালানোর নজির নেই, ফলে তার মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ আইনি ও রাজনৈতিকভাবে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।