যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অতিরিক্ত দুই হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ জুন) থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন অভিবাসী, অধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষ। শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী কঠোর পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইসিই) সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলসসহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ১১৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তার ভাষায়, “আইন–শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত।”
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম এ সিদ্ধান্তকে ‘উসকানিমূলক’ এবং ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মনে করেন, এতে করে উত্তেজনা আরও বাড়বে।
সমালোচনার মুখেও ট্রাম্প তার অবস্থানে অনড়। এক্স–এ (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “যদি স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করবে।” তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাবাজ’ ও ‘লুটেরা’ বলে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেনা মোতায়েনের সমালোচনা করে বলেছে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন করা গণতন্ত্রবিরোধী। তারা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।