দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব। পশু কোরবানীতে ব্যবহৃত সরাঞ্জামাদি তৈরি ও মেরামতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার, কামারপল্লীগুলো লোহা হাতুড়ির টুংটাং শব্দ আর ক্রেতাদের পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই শিল্পে জড়িত কামাররা।
প্রতিটি চাকু ১৫০–২৫০ টাকা, দা ৫০০–৭০০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি, জবাই ছুরি ৯০০–১২০০ টাকা এবং বটি ৪০০–৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে দোকানিরা। পুরাতন সকল যন্ত্রপাতি শান দিতে গুণতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
কেশবপুর এলাকার আতাউর রহমান জানান, কোরবানির জন্য তিনি একটি চাপাতি ও দুইটি চাকু তৈরির অর্ডার দিতে এসেছেন। নিত্য পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে লোহার তৈরি এসব সামগ্রীরও দাম বেড়েছে।
সারাবছর চাকু, বটি, চাপাতি তৈরি বা শান দেওয়ার চাহিদা কম থাকলেও কোরবানির ঈদকে ঘিরে তা বেড়ে যায়। নাটোরের লালপুর উপজেলার ভেল্লাবাড়ীয়া, দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়ীয়া, পাইকপাড়া, , ও কচুয়াসহ বিভিন্ন হাট বাজার আর কামার পল্লীগুলো কয়লার লাল আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে দা, বটি, চাকু, ছুরি, ও চাপাতি সহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি। বেশিরভাগ কামারের দোকানে বিদ্যুৎ চালিত শান মেশিন থাকায় অল্প সময়েই অধিক কাজ করছেন কামাররা।
উপজেলার ভেল্লাবাড়িয়া বাজারের অসিম কর্মকার জানান, সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার এখানে হাট বসে। সারা বছর টুকটাক বেচাকেনা হয় তবে কোরবানি ঈদকে ঘিরে ১০–১২ দিন আগে থেকে বিক্রি বাড়ে হয়।
একই এলাকার অসিৎ কর্মকার জানান, ঈদের এখনও সপ্তাহ খানেক বাকী। তবে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে কোরবানি ঈদের ৪/৫ দিন আগে।
সাহেদুল আলম/এসএ/দীপ্ত নিউজ