নিরাপদ পানি ও পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের অভাবে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে দ্রুত ছড়ায় টাইফয়েড। মূলত সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণই হলো টাইফয়েড জ্বর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাত পরিষ্কার– পরিচ্ছন্নতার অভাব, অপরিষ্কার খাবার গ্রহণ, টয়লেট ব্যবহারে সতর্কতা ও সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার বাহক এমন ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করার ফলে টাইফয়েড রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের মধ্যেই পরজীবী ব্যাকটেরিয়া সালমোনেলা টাইফি বাস করে। যখন এ ব্যাকটেরিয়া কোনো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তখন সে ব্যক্তি জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই টাইফয়েড রোগে রোগীর উচ্চ জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে শরীরে দেখা দিতে পারে ফুসকুড়ি। গুরুতরক্ষেত্রে নানা শারীরিক জটিলতা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
চিকিৎসা
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বর নিশ্চিত হওয়া যায়। যদি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ফুল কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। জ্বর ভালো হয়ে গেলেই ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। পাশাপাশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তিগত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিরোধের উপায়
টাইফয়েড রোগ থেকে দূরে থাকতে হলে প্রতিদিন বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন–
১। নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
২। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
৩। দূষিত স্থান থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে।
৪। কাঁচা ফল ও সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫। নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে।
৬। সর্বোপরি, টাইফয়েডের টিকা গ্রহণ করতে হবে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ