ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে লোডশেডিং। এমন অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি পেতে মানুষের ভরসা শুধু হাতপাখায়। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের পাখা পল্লীখ্যাত পারিয়াট গ্রামের মানুষরা।
গ্রামটির বাড়ি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে পাখা। কেউ পাতা কেটে সাইজ করছেন, কেউ নিপুণভাবে সেলাই করছেন, কেউ সুতা ও বাঁশের শলায় রঙ লাগিয়ে নকশা করছেন ও তৈরি করা পাখা বাজারজাতের জন্য বোঝা বাঁধছেন। আবার কেউ পাইকারি ক্রেতাদের সঙ্গে বকেয়া হিসাব ও আপ্যায়নে ব্যস্ত।
বয়োবৃদ্ধ কারিগর মোজাহার বিশ্বাস বলেন,’তাদের পূর্ব পুরুষেরা পাখা তৈরীর কাজ করতেন। এখন তাদের গ্রামের কমপক্ষে ৩৫/৪০ টি পরিবার তালপাখা তৈরি করে জীবন চালাচ্ছে। তিনি নিজে ৪৭ বছর ধরে পাখা তৈরীর কাজে আছেন। হাতে তৈরি পাখা গত ৪০/৪৫ বছরের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।‘
কারিগর জামশেদ আলী বলেন, ‘সাধারণত চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ এ তিনমাস হাতপাখা বিক্রির বেশি চাপ থাকে। শীত এলে বিক্রি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকাতে এখন আর তালপাতা পাওয়া যায় না। শীত মৌসুমে তালপাতা ফরিদপুর, মাদারীপুর, কানাইপুর, মধুখালী, মোহম্মদপুর ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা তালগাছের পাতা কিনে মজুদ করে রেখে দেন। কারিগর ক্রেতাদের জন্য তারাও এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।‘
শাহরিয়ার আলম/এসএ/দীপ্ত নিউজ