রাজধানীর বাজারে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। সোমবার (৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
বেশ কয়েকদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা মরিচের বাজার এখন নিম্নমুখী। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে দাম অন্তত ২৪০ টাকা কমে, পাইকারি পর্যায় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২২০ টাকায়। রবিবার (২ জুলাই) মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসতে শুরু করায়, বাজারে মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে দাম।
এক ক্রেতা জানান, মরিচের দাম কমতে শুরু করায় বাজরে স্বস্তি ফিরেছে। দাম আরও কমানো উচিত।
গত কয়েকদিন ধরে মরিচের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের কোথাও কোথাও এক হাজার টাকা পর্যন্ত মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে।
২ জুলাই বাগেরহাটে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাবনায় ৪০০ থেকে ৬০০, বগুড়ায় ২৫০ থেকে ৩৫০, ফরিদপুরে ৬০০, রাজবাড়ীতে ৫০০, ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় ৭০০, শৈলকূপায় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচামরিচ।
ঊর্ধ্বমুখী কাঁচামরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। দুদিন আমদানির পর ঈদের কারণে বন্ধ ছিল মরিচ আমদানি। ঈদের ছুটি শেষে ২ জুলাই থেকে আবারও দেশে আসছে আমদানিকৃত কাঁচামরিচ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২ জুলাই সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৫ টন মরিচ এসেছে। দেশে ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে দেশে এসেছে মোট ৯৩ টন কাঁচামরিচ।
এসএ/দীপ্ত নিউজ