জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণসংহতি আন্দোলন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দিপক কুমার রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি আমাদের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য এখনও ষড়যন্ত্র করে চলছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে তারা বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে; গতকাল রাতে গণসংহতি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করছে; কিন্তু মানুষ তাদের এ ধরনের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, মানুষ বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। দেশকে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নিতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে, জনগণের এই ঐক্যবদ্ধতাই আগামীর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার পথ দেখাবে।
তিনি আরও বলেন, বিচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোষরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
কারা এসব অপতৎপরতার সাথে জড়িত সেটা যদি পতিত আওয়ামী লীগ হয় তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন সেটাও জনগণের সামনে হাজির করতে হবে।
দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, অভ্যুত্থানে গণসংহতি আন্দোলন মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে এই শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন হলো। অভ্যুত্থানের যে অর্জন তাকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেয়া হবে না। সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।