মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে ৪৩৮ স্থানে চলেছে হত্যাযজ্ঞ, মারণাস্ত্র ব্যবহার ৫০ জেলায়

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

২০২৪ সালের জুলাইআগস্ট আন্দোলন ঘিরে দেশের ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে হত্যাযজ্ঞ চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য ও আ. লীগের সশস্ত্র নেতাকর্মী। এছাড়া অর্ধশতাধিক জেলায় ব্যবহার করা হয় মারণাস্ত্র।

জবানবন্দিতে এমনটাই উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাইআগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুন বিরুদ্ধে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এ তথ্য জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেলে মো. আলমগীর জবানবন্দি দেন। প্যানেলে অন্য সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন, বেলা সাড়ে ১১টায় তৃতীয় দিনের মতো ৫৪তম সাক্ষী হিসেবে মো. আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তার পেশ করা জবানবন্দির অংশবিশেষ ও প্রদর্শন করা ভিডিও সরাসরি বিটিভিতে সম্প্রচার করা হয়।

মো. আলমগীর বলেন, গত বছর জুলাই আন্দোলন চলাকালীন ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ড বা নৃশংসতা চলল, এসব বন্ধে আসামিরা কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা। আপনি কি তদন্তে পেয়েছেন?

জবাবে সাক্ষী আলমগীর বলেন, না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডনৃশংসতা বন্ধ করার জন্য আসামিরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। একইসঙ্গে যারা হত্যাগুমজখম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মূলত জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৫ বছরে খুনগুম, নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

 

এসএ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More