দীর্ঘদিনের অবহেলিত ও বিচ্ছিন্ন জনপদ নরসিংদীর চরাঞ্চলের জীবনযাত্রার মান পাল্টে দিচ্ছে ”শেখ হাসিনা সেতু”।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ৬৩০ মিটার দৈর্ঘের শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৮ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৯.৫ কোটি টাকা।
মেঘনার শাখা নদীর কারণে নরসিংদী শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিলো সদর উপজেলার চরাঞ্চলের নজরপুর ও করিমপুর ইউনিয়ন। চরাঞ্চলের লাখো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিলো নদীপথ। শহর থেকে সঠিক সময়ে চরাঞ্চলে যেতে পারতেন না সরকারি–বেসরকারি চাকুরিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ। এতে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ কৃষি ও ব্যবসায় পিছিয়ে ছিলো এ জনপদের মানুষ।
দীর্ঘদিনের দাবীর মুখে মেঘনা নদীতে নির্মাণ করা হয় চরাঞ্চলবাসীর বহু প্রত্যাশিত একটি সেতু। এ সেতুর নামকরণ করা হয় ”শেখ হাসিনা সেতু”। সম্প্রতি জনগণের যাতায়াতের জন্য খোলে দেয়া হয়েছে সেতুটি। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হওয়ায় উন্নতি হচ্ছে চরাঞ্চলের আর্থ–সামাজিক অবস্থার।
নরসিংদী এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বপ্নের এ সেতু কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রের উন্নয়নসহ নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষকে। সেতুর দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে দীর্ঘ সড়ক। সেতুকে ঘিরে চরাঞ্চলের সড়ক উন্নয়নের আরও পরিকল্পনা রয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ