সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতারের পর জামিনে ফ্লোরিডা ফিরে গেলেন। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) নিউইয়র্কের আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার ইতিহাসে প্রথম এ ঘটনার সাক্ষী হয় যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কের ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট আদালতে হাজির হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নেয়া হয় পুলিশি হেফাজতে। হাতকড়া পরানো না হলেও ট্রাম্পের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার পর আদালত কক্ষে পড়ে শোনানো হয় তার বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ। যার মধ্যে পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য দেয়ার অভিযোগও ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন তার কোনো ছাপই নেই তার কণ্ঠে বা অভিব্যক্তিতে।
আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এক জনসভায় সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার প্রার্থিতা ঠেকাতে চায় ক্ষমতাসীনর ডেমোক্র্যাটরা। তাই ভয় পেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিজ বক্তব্যে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
আরও বলেন, ”আমেরিকায় এমন কিছু ঘটতে পারে আমি কখনো ভাবিনি। আমি একমাত্র অপরাধ করেছি সেটি হচ্ছে নির্ভীকভাবে আমাদের জাতিকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা।“
তবে শুনানিতে আনা সব অভিযোগ নাকচ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে ডিসেম্বরের ৪ তারিখ মামলার পরবর্তী দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন।
এ সময় আইনজীবীরা শুনানিতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ট্রাম্পের অব্যাহতি চাইলে তা নাকচ করে দেন বিচারক।
অনু/দীপ্ত সংবাদ