সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে চাঞ্চল্যকর পর্যটক আলে ইমরান হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জাফলং বল্লাঘাট রিভারভিউ রিসোর্ট এর পাশে এক অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ পাথরচাপা অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে জানা যায়, নিহতের নাম আলে ইমরান (৩২)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার গুরই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গোয়াইনঘাট থানার পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা নাদিম আহমেদ নাঈমকে (১৯) নিজ বাড়ি থেকে ও ভিকটিম আলে ইমরানের স্ত্রী কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার গুরই গ্রামের খুশনাহারকে (২১) ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহারের সাথে হত্যা মামলার আরেক পলাতক আসামি মাহিদুল হাসান মাহিনের (২৪) দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছে।
খুশনাহার তার স্বামী আলে ইমরানকে নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে গত ১৫ এপ্রিল সিলেট আসে। অন্যদিকে একই দিনে প্রেমিক মাহিন, মাহিনের অফিসে কর্মরত গ্রেফতার আসামি নাদিম সিলেতে এসে পৌঁছায়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খোশনাহার হত্যাকাণ্ডের পূর্বে কৌশলে ভিকটিম আলে ইমরানকে তার স্ত্রী খুশনাহার ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। রাত ১২টায় হত্যাকারী মাহিন তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে হোটেল রিয়ারভিউ এর ১০১ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে এবং রাত ২টায় আলে ইমরানের স্ত্রী খুশনাহার ও প্রেমিক মাহিন গলায় গামছা পেঁচিয়ে আলে ইমরানকে হত্যা করেন।
আলে ইমরানের মৃত্যু নিশ্চিত হলে রাত ৩টায় হত্যাকারী মাহিন ও অপর দুই সহযোগী আলে ইমরানের মৃতদেহ হোটেলের পাশে পাথরচাপা দিয়ে রাখে। পরে হত্যাকারীরা হোটেল থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ৪টায় পালিয়ে যায়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এমি/দীপ্ত