শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

জাতীয় নির্বাচনের আগে দুর্গাপূজা, মণ্ডপে মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে দেবী দূর্গাকে বরণ করার প্রস্তুতি। উৎসবের আমেজ বইছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে প্রতিবছরই দেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এ দুর্গাপূজা। এ বছর ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এ ধর্মীয় উৎসব। পূজা কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ সজাগ। পুলিশ র‌্যাবের পাশাপাশি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ পূজার দুই মাস পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

পুলিশ সদরদপ্তর থেকেও সব জেলায় জেলায় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও নিরাপত্তার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে যেন পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা না ঘটে তাই সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা শেষ করতে বদ্ধপরিকর সরকার।

ঢাকাসহ সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি মণ্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পূজার সময় কঠোর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এদিকে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে বেশ কিছু নিরাপত্তামূলক পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পরামর্শ

তা হলো

পূজামণ্ডপে আগত নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা রাখা। পূজামণ্ডপে কোনো ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকা। পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করা। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা।

পূজামণ্ডপে ও প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা। সম্ভব হলে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর, চার্জার লাইট, হ্যাজাক লাইট ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা।

পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লেখা আর্মড ব্যান্ড প্রদান করা।

পূজা চলাকালে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকা।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমনফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার অথবা ব্লগ ইত্যাদি এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন অমূলক ঘটনা বা গুজব সৃষ্টি করে কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পুলিশকে জানানো।

পূজা উদযাপনকালে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। আজান ও নামাজের সময় মাইক ও বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখা।

প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রার নির্ধারিত রুট ব্যবহার করা। পূজামণ্ডপে শোভাযাত্রা এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা। রাতের বেলায় পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুম : ০১৩২০০০১২৯৯, ০১৩২০০০১৩০০, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কন্ট্রোল রুম : ০২৫৫১০২৬৬৬, ০২২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০১৩২০০৩৭৮৪৫৪৬, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) কন্ট্রোল রুম : ০২৪৮৯৬৩১১৭, ০১৭৭৭৭২০০২৯ এবং ফায়ার সার্ভিস সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম : ০২২২৩৩৫৫৫৫৫, ০১৭১৩০৩১৮১৮২ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়।

এ ছাড়া যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা পেতে টোল ফ্রি জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করতে বলা হয়েছে।

 

মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More