ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও আনন্দ উদ্দীপনায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশা মানুষ অংশ নেন।
টানা কয়েকদিনের তীব্র গরম শেষে ঈদের দিন সকালে ছিল স্বস্তির আবহাওয়া। টানা ৩০ দিনের সিয়াম সাধনা শেষে যা বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসে সবার মাঝে। তাই ঈদের দিন ভোর থেকে নগরীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে ঈদের প্রধান জামাতে শরিক হতে।
এবারে জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। প্রধান এই ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাই জাতীয় ঈদগাহের ভেতরে বাহিরে সতর্ক অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা।
শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধের পাশাপাশি জাতীয় ঈদগাহে আসেন নারীরাও। সবার সঙ্গে শরিক হন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রি পরিষদের সদস্যসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অনেকে।
নামাজ শুরুর আগে ঈদগাহ ময়দানের ভেতরে জায়গা না থাকাই মুসল্লিরা অংশ নেন সড়কে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে শুরু হয় নামাজ। দেশের শান্তি সমৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের সুস্থতার দোয়া করা হয় মোনাজাতে।
এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত সকাল সাতটা থেকে পর্যায়ক্রমে এই মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।