বাঙালির প্রতি জাতির পিতার অগাধ বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েছেন ঘাতকেরা। যুদ্ধ জয়ের মাত্র সাড়ে তিন বছর পর উল্টোপথে যাত্রা করে বাংলাদেশ। ১৫ আগস্টের প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে ভয়াল সেই ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।
বঙ্গবন্ধুর এমন আত্মবিশ্বাস আর সাহসিকতায় বাংলাদেশের অভ্যূদয়। তাই পাকিস্তানের কারাগারে তাঁকে হত্যা করতে পারেনি সামরিক সরকার।
কারাগার থেকে মুক্তির পর বীরের বেশে ফিরে এলেন মহানায়ক। কন্যা ও শিশুপুত্রের মতোই আনন্দে আত্মহারা বাঙালি। তবে ক্লান্ত মুজিবের বিশ্রামের সুযোগ নেই; শুরু হয় দেশগঠনের নতুন লড়াই।
বাঙালির প্রতি জাতির পিতার ছিলো অন্ধ বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস নিয়েই তিনি সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী খোন্দকার মোশতাকের মনে তখন দুরভিসন্ধি। সরল বিশ্বাসী জাতির পিতা তা ঘূণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি। নেতাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ হত্যার ছক কষে মোশতাক থাকতেন বঙ্গবন্ধুর আশপাশেই। ১৫ আগস্ট ভোররাতে খুনের নেশায় মত্ত একদল ঘাতক সেনা কলংকিত করে বাঙালির ইতিহাসকে।
স্বামীর মৃত্যুর পর ঘাতকদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি বঙ্গমাতা। শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে রেহাই দেয়নি ঘাতকেরা। রচিত হয় কলঙ্কের ইতিহাস।
শোকের লগ্নে তাই ফিরে আসে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের জোর দাবি।
আল/ দীপ্ত সংবাদ