এবার দীর্ঘ সময়ের রোজার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চৈত্রের খরতাপ। এই পরিস্থিতিতে প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতা, ঘামাচি, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও লো ব্লাড প্রেসারের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে রোজাদারদের জন্য দিনের দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। সরাসরি পানি ছাড়াও ডাবের পানি, লেবুর শরবত, স্যুপ বা ফলের রস পান করা যেতে পারে।
সঠিক খাবার নির্বাচন করুন:
ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার যেমন খেজুর, ফলমূল, শসা, দই, ছোলা এবং ডাল জাতীয় খাবার খান। সেহরিতে পর্যাপ্ত শাকসবজি ও প্রোটিন রাখুন, যাতে সারাদিন শক্তি ধরে রাখা যায়।
বাইরে চলাচলে সতর্ক থাকুন:
রোদে বের হলে হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চোখে সানগ্লাস ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন:
রোজার সময়ে ঘুমের রুটিন অনেকেরই বদলে যায়। তাই ক্লান্তি দূর করতে দিনে ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে দুপুরে হালকা বিশ্রাম নিন।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
বাইরে থেকে এলে ঠাণ্ডা পানিতে হাত–মুখ ধুয়ে নিন। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীরের লবণ ও মিনারেল পুনরায় গ্রহণ করতে খেয়াল রাখুন।
অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন:
চৈত্রের গরমে শরীরের শক্তি দ্রুত ক্ষয় হয়। তাই রোজায় ভারী পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে কাজের সময়সূচিতে সামঞ্জস্য আনুন।
সতর্কতা ও সচেতনতার মাধ্যমে চৈত্রের দাবদাহ ও রোজার ক্লান্তি মোকাবিলা করা সম্ভব। তাই খাদ্যাভ্যাস ও দৈনন্দিন রুটিনে কিছু পরিবর্তন এনে সুস্থ থাকুন, সতেজ থাকুন।