প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেবাগ্রহীতদের সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় তিন শতাধিক মানুষ।
১৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৬জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. কামরুন্নাহার রলি সদর হাসপাতালে, সার্জিক্যাল ডা. নসরুম মাহফুজ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফারজানা শান্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে, মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুজ্জামান, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. ইমরানুল হক রানা ও ডা. তানজিনা বিভিন্ন প্রশিক্ষণে রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে রোগীর দীর্ঘ সারি। রোগীরা অনেক অপেক্ষা করে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অন্যত্র সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত মুন্সীরহাট এলাকার শফিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নিরুপায় হয়ে রোগীরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার মানুষ।
অন্যদিকে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। মাঠ পর্যায়ে ছয়টি ইউনিয়নের ১৮ জন স্বাস্থ্য সহকারীর মধ্যে ৬ জন রয়েছেন। অন্য দুইজন স্বাস্থ্য সহকারী অফিসের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। বাকি ৪ জন দিয়ে ৬ ইউনিয়নের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে গত কয়েক বছর চালক না থাকায় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিও পড়ে আছে। এদিকে মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান শ্যামল সরকার বাগেরহাটে নতুন চাকুরীতে চলে যাওয়ায় রোগীদের অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে ল্যাবের পরীক্ষা করতে হচ্ছে। নেই ডেন্টাল বিভাগের টেকনিশিয়ানও।
এর আগে হাসপাতালে একদিনে ৯টি স্বাভাবিক প্রসবের কৃতিত্ব অর্জন করেছিল ফুলগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গাইনি চিকিৎসকের বদলির কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিম জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। শূন্যপদের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ