একসঙ্গে চার কন্যা শিশু জন্ম দিয়ে চিন্তিত পরিবার। চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবরে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাময়িকভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলেও চার কন্যার ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না দরিদ্র মা–বাবার।
এদিকে, প্রথমবারের মতো একসঙ্গে চার জমজ শিশু জন্মের ঘটনায় খুশি গ্রামবাসি। তারাও চান, চার কন্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য সহযোগীতা। চার কন্যার ভবিষ্যতের জন্য জমিসহ বাগান করে দেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মাহবুল ও কল্পনা খাতুন দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। একসঙ্গে চার ফুটফুটে কন্যাশিশুর জন্ম দিয়ে যেমন খুশি বাবা–মা, তার থেকে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। দিন আনতে পান্তা ফুরায় যে পরিবারে সেই পরিবারে একসঙ্গে চার কন্যার লালন পালন করা নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়েছে দিনমজুর বাবার কপালে। তবুও চার সন্তানকেই নিজ দায়িত্বে মানুষ করে বড় করতে চান শিশুর বাবা মা।
চার ফুটফুটে কন্যাশিশুর বাবা জানান, তার সন্তানেরা জন্মের পর গ্রামের লোকজন তাদের অনেক সাহায্য করছেন। এছাড়া এই শিশুগুলোর লালন–পালনে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন তিনি।
গত ৯ মে চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেয় কল্পনা খাতুন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসক ওই ক্লিনিকে হাজির হয়ে চার সন্তানের নাম রাখেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। সর্বকনিষ্ঠ শিশুকন্যা টিয়া কিছুটা অসুস্থ থাকায় তাকে ছাড়াই বাকি তিনকন্যা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন মা। বাড়িতে ফেরার পর সেখানে ভীড় করছেন উৎসুক জনতা। প্রথমবারের মতো চার কন্যা শিশু জন্মের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদেরকে এক পলক দেখতে ছুটে আসছেন অনেকেই।
একসঙ্গে চার কন্যা শিশুর জন্মের ঘটনায় খুশি গ্রামবাসি। এমন ঘটনায় উজ্জ্বল হয়েছে গ্রামের নাম। শিশুর লালন পালনে ভূমিকা রাখতে চান তারা।
এদিকে, শিশুর ভবিষ্যত চিন্তায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মাহবুল–কল্পনা দম্পতির ঘরে ১১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ