শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

চাঁদা না দেয়ায় দোকান দখলের অভিযোগ

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মিতরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদা না দেয়ায় লিটন মিয়া নামের এক দোকানির দোকান দখল ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসময় নুরুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে।

ভুক্তভোগী লিটন মিয়া জানান, ছয় বছর ধরে বাসট্যান্ড এলাকার নিজ দোকানে ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তার বাবা আব্দুল মালেক এবং চাচা আশরাফ ২১ বছর আগে এই দুই শতাংশ জমি নুরুল ইসলামের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি দলিলমূল্যে কেনেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে একটি চক্র তার ব্যবসা এবং দোকান কব্জা করার পাঁয়তারা করে। এছাড়া অভিযুক্তরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় মার্চ মাসের ১১ তারিখ রাতে তাদের দোকানের কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।

ভুক্তভোগী আরও জানান, পরবর্তীতে ওই প্রতিপক্ষ দোকানের মালিকানা দাবী করে তৃতীয়পক্ষের কাছে দোকানটি মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেন। এ বিষয়ে বাজার কমিটি এবং স্থানীয়দের সহযোগিতাও কোন কাজে আসেনি।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে(পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে, এরইমধ্যে চুরি যাওয়া আংশিক মালামাল উদ্ধার হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বেতিলামিতরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মঞ্জুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘লিটন মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ দোকানে ইন্টারনেট ব্যবসা করে। কিছুদিন আগে শুনলাম তার দোকানে চুরি হয়েছে। এরপর চুরি যাওয়া বেশকিছু মালামাল আইনগত প্রক্রিয়ায় পিবিআই উদ্ধার করে। দোকানের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল আগেপরে তা শুনেছি।’

এসকল অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন ও নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া সম্ভব হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. গোলাম আপছার বলেন, আমাদের তদন্ত চলমান আছে, তদন্ত শেষ হলে সঠিক ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। ইতোমধ্যে চুরি যাওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

 

 

জাহিদুল হক চন্দন/এমি/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More