চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিব উদ্দিনের চুরি হয়ে যাওয়া সরকারি অস্ত্র ও গুলি ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুবেল খান (৩৬) ও সুমন (৩৫) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম।
ঢাকা মেট্টোপলিটন ও চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় বিকেলে এই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।
আটক রুবেল খান বরগুনা জেলার বেতাগী থানার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ভোড়া গ্রামের মৃত আজিজ খানের ছেলে। তার বর্তমনা ঠিকানা মিরপুর–১ শাহ আলী থানায়। আর সুমন ঝালকাঠি জেলার নেছারাবাদ থানার সোহাগদল ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগদল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মাঝির ছেলে। বর্তমান ঠিকানা মিরপুর শাহ আলী থানার বেরিবাধ বস্তি তুরাগ সিটি এলাকা।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, থানার এসআই মো. রাকিব উদ্দিন ভূঞা (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত, পুলিশ লাইনে সংযুক্ত) আছেন। গত ৪ মে দিনে কিলো–৩ ডিউটি শেষে রাত অনুমান ১০টার দিকে তার নিজ নামীয় ৯ এমএম তরাশ (বাট নং–০৫৮৮৫৬), সরকারি পিস্তল (১৬ রাউন্ড গুলিসহ) থানা সংলগ্ন অনুমান ২০০ গজ উত্তরে তার ভাড়া বাসায় যান। রাত্রীযাপন শেষে পরদিন ৫ মে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি তার সরকারি অস্ত্র–গুলি ইউনিফর্মের বেল্টের সাথে ট্রলি লাগেজের ভিতরে রেখে থানায় আসেন। পরবর্তীতে বিকেলে ৪টার দিকে পুনরায় বাসায় গিয়ে দেখতে পান তার রুমের দরজা খোলা, তালা নাই এবং বাসার রুমের ভিতর জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে আছে। তখন তিনি তার ট্রলি লাগেজ খুলে দেখেন রক্ষিত সরকারি অস্ত্র–গুলি নেই।
বিষয়টি জানাজানির পর এসআই রাকিব উদ্দিনকে তাৎক্ষণিক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল অস্ত্র উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরপর গত ১০ মে থানার ওসি চোরের সন্ধান দিতে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ডিএমপি ডিবি, জেলা ডিবি ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শাহআলী থানা পুলিশের সহযোগিতায় শাহআলী থানা এলাকা থেকে সরকারি অস্ত্র–গুলি (৯এমএম–পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিনসহ) উদ্ধার করা হয়। মামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চোর ও অস্ত্র ক্রেতাসহ দুজন আটক আছে। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।