বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড়ের নাম যেভাবে হলো মোখা

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে কীভাবে এর নাম মোখা হলো, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকের মনে।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের প্রচলন হয় ২০০০ সালে। এ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এ সময়ের মধ্যেই একই অঞ্চলে আরও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হলে সম্ভাব্য বিভ্রান্তি এড়ানো সহজ হয়।

মোখা’ নামটি এল কোত্থেকে

মোখা ইয়েমেনের একটি বন্দর শহরের নাম। ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলের শহর এটি। ঊনবিংশ শতকে ইয়েমেনের প্রধান বন্দরে পরিণত হয় মোখা। শহরটি কফির বাণিজ্যের জন্য সুপরিচিত। মোখা নামে একটি কফিরও নাম আছে। সেই পঞ্চদশ শতক থেকে কফির বড় বাজার ছিল মোখা। এর সুখ্যাতি এখনো আছে। এ নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।

উত্তর ভারত মহাসাগর তথা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্যানেল সদস্যদেশগুলো ২০২০ সালের এপ্রিলে নামগুলো গ্রহণ করে।

দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এ দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী তৈরি তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ হয়।

তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এ নামটি বাংলাদেশের দেয়া। এর পরবর্তী পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে যথাক্রমে তেজ (ভারত), হামুন (ইরান), মিধিলি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার) ও রিমাল (ওমান)

 

 

এফএম/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More