ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকা বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় জেলার শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
রবিবার (২৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে। এছাড়া রেমালের প্রভাবে জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবিরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্র নিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বাগেরহাটে দুপুর থেকেই বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া। জেলার সকল নদ–নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধির ফলে শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল ৫ থেকে ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী উপজেলা গুলোতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে গুলোতে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ৩ হাজার ৫শ ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্টোল রুম। বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৬৪৩ মেট্রিকটন চাল ও ৫লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জেলার ৯টি সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাধ এলাকায় গুলো বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মামুন/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ