ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঝালকাঠির উপকূলীয় বাসী। বন্যার প্রভাবে ঝালকাঠির আকাশ মেঘলা রয়েছে নদী কিছুটা উত্তাল সহ হালকা বাতাস বইছে।
তবে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় তা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় জন্য খাদ্য গুদামে প্রয়োজনীয় খাবার মজুদ রয়েছে এবং আরো খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধিদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এরি মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা পূর্ববর্তী প্রস্তুতি হিসেবে করনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঝালকাঠিতে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
জেলায় ৬২টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১৬০ জন সেচ্ছাসেবক, ৩৮টি মেডিকেল টিম, ৩৬৫ মেক্টিকটন জিআর চাল, নগদ ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানানো প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৪৭৮৮৭৫২৩৩ ও ০১৯২৫১৬২৬২১। এছাড়া কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক বোরো ধান সহ পরিপক্ক সকল ফসল তোলার নির্দেশনা মোতাবেক কৃষকরা কৃষি পণ্য নিরাপদ স্থানে তুলে নিচ্ছে।
জেলার নলছিটি উপজেলার মানুষেদের কে ঝালকাঠির সদরে ট্রলারে (ইঞ্জিল চালিত নৌকা) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে ক্ষেয়া পার হয়ে যেতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিনের নলছিটি বাসীর দাবি সুগন্ধা নদীতে সেতু নির্মানের তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জেলা শহরের যাওয়ায় একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্রলার তাই বাধ্য হয়ে নদী পার হয়ে যাচ্ছে তারা।
আফ/দীপ্ত সংবাদ