দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিক ভারতকে মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। যার ফলে আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো ২–০ ব্যবধানে।
গত বছর নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও একই পরিণতি বরণ করতে হলো। সেটাও আবার ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
প্রোটিয়াদের টেস্ট ইতিহাসে রানের হিসেবে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা ৪৯২ রানে জিতেছিল। অন্যদিকে টেস্টে রানের হিসেবে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় পরাজয়। আগেরটি ছিল ২০০৪ সালে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪২ রানে। দুই টেস্টের সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতে নিল টেম্বা বাভুমার দল।
গুয়াহাটির যে উইকেটটি তৈরি করা হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য, উল্টো সেখানে রাজত্ব করলো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এবং স্পিনাররা। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা তুলেছিল ৪৮৯ রান। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০১ রানে অলআউট ভারত।
২৮৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ২৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ৫৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামতে হয় ভারতীয়দের। এতবড় রানের দিকে তাকিয়েই হয়তো পিলে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে রিশাভ পান্তদের। যে কারণে নিজেদের স্পিনারদের জন্য তৈরি করা স্পিনিং ট্র্যাকে রাজত্ব করলো প্রোটিয়া স্পিানররা।
সাইমন হারমার আর কেশভ মাহারাজদের তোপের মুখে থরথর করে কেঁপেছে ভারতের তথাকথিত বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ। এক রবিন্দ্র জাদেজা যদি ৫৪ রানের ইনিংসটি না খেলতেন, তাহলে ১০০’র আগেই অলআউট হওয়া লাগতো স্বাগতিকদের। সাইমন হারমার একাই নেন ৬ উইকেট। কেশভ মাহারাজ ২টি, সেনুরান মুথুসামি ও মার্কো ইয়ানসেন নেন ১টি করে উইকেট। অর্থ্যাৎ, ৯টি উইকেটই নিয়েছে স্পিনাররা।
একবছরের ব্যবধানে ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। গতবছর অক্টোবর–নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারতীয় দল। ঠিক এক বছরের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা। দুইটি হোয়াইটওয়াশের ঘটনা ঘটলো গৌতম গম্ভীরের অধীনে।