এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রে অনিচ্ছাকৃতভাবে নাম, বয়স কিংবা অন্য যে কোন তথ্যে ভুল হতে পারে। আবার কেউ হারিয়ে ফেলেছেন। এমন নানা সমস্যায় এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে অনেকেই বিপদে আছেন। তবে নিজে নিজেই সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে এই ভুল সংশোধন করা যায়।
বিস্তারিত নিয়মকানুন:
১. অ্যাপ ডাউনলোড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি–
শুরুতে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। NID WALLET নামের এই অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে । অ্যাপটি ডাউনলোড করে মুঠোফোনে ইনস্টল করে নিতে হবে।
২. অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন–
সংশোধনের ওয়েবসাইটে ঢুকতেই ‘রেজিস্ট্রেশন করুন’ নামে একটি অপশন আসবে। সেখানে ক্লিক করলে শুরুতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। এরপর প্রয়োজন হবে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা। এই ধাপে আপনার মুঠোফোন নম্বর ‘ভ্যারিফাই’ করতে হবে। মুঠোফোন নম্বর দেওয়ার পর সেই নম্বরে একটি কোড নম্বর পাঠানো হবে। কোডটি সাবমিট করে মুঠোফোন নম্বরটি ভ্যারিফাই করতে হবে। পরের ধাপে আগেই ডাউনলোড করে রাখা অ্যাপটি প্রয়োজন হবে। অ্যাপ ওপেন করে মুখমণ্ডল ‘ভ্যারিফিকেশন’ করতে হবে। ভ্যারিফিকেশন সম্পন্ন হলে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে পারবেন।
৩. প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন–
জাতীয় পরিচয়পত্রের অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর প্রোফাইল, রিইস্যু, ডাউনলোড, তিনটি অপশন আসবে। সেখান থেকে প্রোফাইল অপশনটি নির্বাচন করতে হবে, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য ও ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো রয়েছে। তথ্যগুলো সংশোধন করতে ‘এডিট করুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সব তথ্য দেখানো হবে। যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, সেটি সংশোধন করে পরের ধাপে যেতে হবে। এই পর্যায়ে আগের তথ্য ও সংশোধিত তথ্য দেখানো হবে। সব ঠিক থাকলে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
৪. ফি প্রদান–
ভুল তথ্যের ধরন অনুযায়ী ফি দিতে হবে। নাম সংশোধন ফি ভ্যাটসহ ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি ১১৫ টাকা। উভয় তথ্য সংশোধন ফি ভ্যাটসহ ৩৪৫ টাকা, রিইস্যু আবেদন ফি ৩৪৫ টাকা এবং জরুরি রি–ইস্যুর জন্য ৫৭৫ টাকা দিতে হবে। ব্যাংক বা অনলাইনের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে।
৫. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা–
ফি প্রদানের পর ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করলে দুটি অপশন দেখা যাবে । একটি হচ্ছে আবেদনের ধরন, আরেকটি হলো বিতরণের ধরন। সঠিক অপশনটি নির্বাচন করে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ ধাপে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। পাবলিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, জন্মনিবন্ধন সনদপত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন রকমের ডকুমেন্ট আপলোড করা যাবে । তবে একাধিক ডকুমেন্ট সাবমিট করতে পারলে ভালো। এখানে আপনি যে ডকুমেন্ট জমা দিতে চান, সেটি সিলেক্ট করে আগে থেকে স্ক্যান বা ছবি তুলে রাখা ডকুমেন্টটি নির্বাচন করতে হবে । এভাবে সব ডকুমেন্ট আপলোড হয়ে গেলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে । ক্লিক করার পর প্রোফাইল পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে, যা পরবর্তী সময়ে কাজে আসতে পারে।
এরপর সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে সংশোধনের আবেদনের আপডেট। এসএমএস পাওয়ার পর আবেদনপত্র, পুরোনো পরিচয়পত্র নিয়ে গিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ