গ্রিসের লারিসায় ট্রেন দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী। নিহতদের সবার ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী দলের এক সদস্য। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রীবাহী একটি ট্রেন গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকির দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেসালোনিকি থেকে আরেকটি মালবাহী ট্রেন আসছিল লারিসার দিকে। যাত্রাপথে লারিসায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন শহরে বর্তমান ও পূর্বের সরকার এবং দেশটির নীতিনির্ধারকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, রেলখাতে বিনিয়োগ না থাকায় এবং সঠিক দেখভালের অভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টিকে মর্মান্তিক আখ্যা দিয়ে এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। বুধবার (০১ মার্চ ) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনার পর আমার আর দায়িত্বে থাকা মানায় না। এখনই সরে যাওয়া উচিত।’
থেসালি অঞ্চলের গভর্নর কনস্তান্তিনোস অ্যাগোরাস্তোস জানিয়েছেন, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।
আফ/দীপ্ত সংবাদ