বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নকল শিশু খাদ্য এবং পানীয় গাজীপুরসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান হতে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং এসব উৎপাদন ও সরবরাহের কাজে জড়িত চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
বুধবার (২৯ মার্চ ) বিকেলে গাজীপুর বি আর টি মাঠে প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান, জিএমপি উপ-কমিশনার ডিবি মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান ।
পুলিশ জানায়, জুস খেয়ে শিশুদের পেটের ব্যাথা ও বমি হয় এই সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহানগরের গাছা থানার কামারজুড়ি এলাকা হতে বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন ম্যাংগো জুস-৭,৪৮২ লিটার, অরেঞ্জ ও লিচি ড্রিংক-৪,৯৬৯ লিটার, ক্যান্ডি- ৩৯৫ বয়াম , আচার ক্যান্ডি- ২,৫০০ পিস, বিপুল পরিমাণ প্যাকেজিং লেভেল, আইস ললি, বিপুল পরিমাণ খালি বয়াম ও জুস কন্টেইনার,মেশিনারিজ, বিপুল পরিমাণ ক্যামিকেল ও প্রিজার্ভেটির, কৃত্তিম রঙ, উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে ডিপোর মালিক ইসমাইল কে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পণ্যের সাপ্লাইয়ার ও উৎপাদনকারী মোস্তাফিজকে আটক করা হয় ।
জিজ্ঞাসাবাদের মোস্তাফিজের নিজের একটি ফ্যাক্টরীতে এই সকল নকল ও ভেজাল শিশু খাদ্য পানীয় পণ্যগুলো নিজেই উৎপাদন ও বাজারজাতে স্বীকারুক্তি দেয় । এছাড়া আরও ০৩ টি ফ্যাক্টরী ঢাকাস্থ বসিলা, বেরাইদ, ও শনির আখড়ায় অভিযান চালায় জিএমপি ।
এসময় স্থানীয় পুলিশ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই সকল জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নকল পণ্য জব্দ করা হয় এবং মালিক, কেমিস্ট, ম্যানেজার ও কর্মচারীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ইসমাইল হোসেন (৩১),মোস্তাফিজুর রহমান কুদ্দুস (৪৭),খাইরুল ইসলাম বুলবুল (৪০),মোশারফ হোসেন (২৫),,রবিউল (৪৮) ,মাসুদ রানা (২৫),রফিকুল ইসলাম (৪০) ,খবির উদ্দিন (৪৫),জীবন রহমান (৪০) ও হাফিজুর রহমান (৩২) ।
আল/দীপ্ত