অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী হামলায় প্রায় ১৯ হাজার শিশুসহ মোট ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা সরকারি গণমাধ্যম অফিস।
প্রায় ২ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধকে অনেকে ‘গণহত্যা‘ বলে অভিহিত করেছেন এবং এরই মধ্যে এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান সামনে এসেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জানিয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় শিশুদের জন্য আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। ইসরায়েল অবরোধের কারণে জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেখানে চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে এখন লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তারা আরও জানায়, ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘ পতাকার নিচে নিরাপত্তা খুঁজলেও সেসব আশ্রয়কেন্দ্রও পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপ, যেখানে অনেক শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। গাজায় কোনো স্থানই শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।
জাতিসংঘ শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ–এর বরাত দিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ আরও জানায়, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৫৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতে নতুন করে আলোচনায় বসতে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হামাস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও চ্যানেল ১২–ও নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েল হামাসের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
সূত্র: আল–জাজিরা
এসএ