ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়, বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন প্রায় ৬ লাখ মানুষ। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন–আইপিসি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
মানবেতর জীবনযাপন করছে গাজাবাসী। দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট।
গাজার ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুশ যা মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ, তাদের খাদ্য সরবরাহ ও সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে। তারা অনাহারে দিন পার করছে বলে উঠে এসেছে আইপিসি রিপোর্টে।
এছাড়া অপুষ্টিতে ভুগছে অঞ্চলটির কয়েক লাখ শিশু। আর যুদ্ধের মধ্যে জন্ম নেয়া শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে, রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে। এছাড়া ডায়াপার ও দুধের দামও আকাশছোঁয়া।
ছিটমহলটিতে এভাবে খাদ্য সংকট চলতে থাকলে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। গাজায় যে পরিমাণ খাদ্য প্রবেশ করছে, তা সেখানকার জনগণের তুলনায় খুবই সামান্য বলে মনে করছে সংস্থাটি।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ৯৬ শতাংশ পানি খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রকমের পানিবাহিত রোগ
আরও পড়ুন: বড়দিনের শুরুতে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৭০
আল/ দীপ্ত সংবাদ