যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার (১৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক্সবার্তায় মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, “যে পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমানে চিকিৎসা ও মানবিক বিবেচনায় অল্পসংখ্যক অস্থায়ী মার্কিন ভিসা প্রদান করা হচ্ছে, তা আমরা পূর্ণ পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের ভিসা প্রদান করা স্থগিত থাকবে।”
রয়টার্স তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর মে মাসে ফিলিস্তিনি অথরিটি ট্রাভেল ডকুমেন্টধারীদের ৬৪০টি মার্কিন ভিসা দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বি১/বি২ ক্যাটাগরির ভিসা থাকায় অনেক ফিলিস্তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা নিতে পারতেন।
কয়েক দিন আগে মার্কিন অলাভজনক সংস্থা ‘হিল’–এর সহায়তায় চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গুরুতর আহত ৩ ফিলিস্তিনি শিশু এবং তার পরিবার সদস্যদের।
১৬ আগস্ট সামাজিক মাধ্যমে এই তথ্য উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী লরা লুমের।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত লরা লুমের এক্সে পোস্ট করা বার্তায় বলেন, “কীভাবে ইসলামিক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ করতে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে?”
পোস্টটি দেওয়ার পর তার কমেন্ট সেকশনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতা–কর্মী লরা লুমের‘কে সমর্থন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করে মন্তব্য করা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই শিশু, নারী এবং বেসামরিক লোকজন।
এসএ