উত্তরের চরাঞ্চলবেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে তীব্র শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে–খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত নদী ও চরাঞ্চলগুলো কুয়াশায় ঢেকে থাকে। ঠান্ডায় কাজ বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষিশ্রমিক ও ভ্যানচালকরা। অনেকেই কাজের খোঁজে বের হলেও শীতের কারণে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা দেখা যায়নি। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষ শীত নিবারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি–কাশি ও জ্বরের প্রকোপও বেড়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তবে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সীমিত থাকায় চিকিৎসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন অসহায় মানুষ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়লেও এখনো পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না পাওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা দ্রুত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।