কোরবানির ঈদে কম–বেশি ভোজনরসিকদের গরুর মাংস খাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। তবে গরুর মাংসের অনেক উপকারিতা থাকলেও এটি খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত মাংস খেলে দেখা দিতে পারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি।
উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার গরুর মাংস। একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন কতটুকু গরুর মাংস খেতে পারবেন তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির ওজনের ওপর। ধরুন একজন ব্যক্তির দৈনিক ওজন ৭০ কেজি। তাহলে তিনি প্রতিদিন ৭০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন।
বেশি মাংস খেলে যেসব ক্ষতি
প্রতিদিন টানা ১০০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খেলে হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে ১৫ শতাংশ। এছাড়াও ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি ১১ শতাংশ, বৃহদান্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত মাংস কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কারণ হয়। মাংসে থাকা বিশেষ ইনফ্লামেটরি যৌগ পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্র ক্যানসারের জন্যও দায়ী।
অতিরিক্ত মাংস খেলে ফুসফুস নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এটি কোলন ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত লাল মাংস আর্থ্রাইটিস, গাউট, পেপটিক আলসার, পিত্তথলিতে পাথর, প্যানক্রিয়াস প্রদাহ ও কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়।
প্রক্রিয়াজাতকৃত লাল মাংসের ক্ষতিকর দিক
টাটকা লাল মাংসের চেয়ে প্রক্রিয়াজাতকৃত লাল মাংস আরও বেশি ক্ষতিকর। দৈনিক ৫০ গ্রামের বেশি প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৪২ শতাংশ ও ক্যানসারের ঝুঁকি ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত হচ্ছে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খাওয়া। ঈদে তো গরু বা খাসির মাংস খাওয়া হবেই। তবে অতিরিক্ত খেয়ে শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করবেন না। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতাসহ অন্য রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাংস খেতে হবে।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ