বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে আসলে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।‘
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের বড় মোকামিয়া গ্রামে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্য জনগণের ভোটের নিশ্চয়তা; জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হলে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ফটক পেরিয়ে বড় গণতান্ত্রিক পরিসরে যেতে পারব।‘
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশে নারী শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা পথ এগিয়েছে। বেগম জিয়া দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক নারী শিক্ষা চালু করায় সারাদেশে নারী শিক্ষা প্রসারিত হয়েছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়তে পারে। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে আগামী দিনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।‘
এ সময় তিনি দেশের বিত্তবান মানুষদের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বরগুনা সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটি আমার ব্যক্তিগত সফর। বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির মহাসচিব এম হুমায়ুন কবীর আমার একজন স্নেহভাজন। তিনি অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি কলেজ তৈরি করেছেন। মসজিদ তৈরি করেছেন। তাকে অনুপ্রেরণা দিতেই আমি এখানে এসেছি।‘
নুরজাহান আইডিয়াল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কৃষি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে এম হুমায়ুন কবীরের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত নূরজাহান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মির্জা ফখরুল।
এর আগে,পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ইয়ার উদ্দিন খলিফার মাজার জিয়ারত করেন তিনি।
এমবিআর/দীপ্ত সংবাদ