গাইবান্ধা ও রংপুরের মধ্যে গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলাটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে গাইবান্ধা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ)। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৬ জুন) গাইবান্ধা জেলা ক্রীড়া সংস্থার হলরুমে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গাইবান্ধা ডিএফএ’র সভাপতি গোলাম মারুফ মনা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে জেএফএ অনূর্ধ্ব–১২ মহিলা (হান্টিং) জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ রংপুর অঞ্চলের খেলা গত ৪ জুন গাইবান্ধা বনাম রংপুর জেলার ফাইনাল খেলায় খেলোয়াড়ের বয়স যাচাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। রংপুর জেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের পালিচড়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় রংপুর জেলা দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই ১২ বছরের অনেক উর্ধ্বে।
শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব–১৭ তে রংপুর বিভাগের পক্ষে অংশ নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় বিবেচিত হওয়া কাকলি আক্তারও এতে অংশ নেন। কাকলী আকতারসহ অধিকাংশ খেলোয়াড় সম্পর্কে বার বার মৌখিক অভিযোগ করলেও বাফুফের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম তা কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে বাইলজের ১০ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকাসহ লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
মাঠে উপস্থিত রংপুর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সফল সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খেলোয়াড়দের বয়স নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করলেও ওই প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কর্মসূচি থেকে ৪ জুনের ফাইনাল খেলা বাতিল করে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত যে কোন সদস্যের উপস্থিতিতে ডাক্তারের মাধ্যমে উভয় দলের খেলোয়াড়দের বয়স পুনরায় যাচাই বাছাই করে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, জেলা মহিলা দল অনূর্ধ্ব–১২ এর কোচ সুরুজ হক লিটন, টিম ম্যানেজার বাপী দাস, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য রেজাউন্নবী রাজু, অমিতাভ দাশ হিমুন, মজিবুর রহমান, বেনজীর আহমেদ, রকিবুল হক রিটন, ওয়াহিদ মুরাদ লিমন প্রমুখ। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয় আফরিন আকতার আশা।
আল/দীপ্ত সংবাদ