জিতলেই প্লে–অফ নিশ্চিত কিন্তু হারলেই বাদ পড়ার শঙ্কা। এমন সমীকরণ নিয়েই খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেললেন তানজিদ তামিম। এই তরুণ ওপেনারের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৬ রান করেছেন তানজিদ তামিম। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৫ বলে ১২৭ রানে অলআউট হয় খুলনা।
এদিন খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামা এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন ব্যর্থ ছিলেন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় মাত্র ১৩ রানেই পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ৮ বলে ৬ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন বিলাল খানের বলে মিড অফে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ তুরে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর শাই হোপকে নিয়ে জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে খুলনা। কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান শহিদুল ইসলাম। শহিদুল ইসলামের বলে রোমারিও শেফার্ডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৪ রানের জুটি।
এই জুটির পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি খুলনা। একে একে সাজঘরে ফিরে গেছেন এভিন লুইস, শাই হোপ, মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন। এভিন লুইস ৩ বলে ৬, শাই হোপ ২১ বলে ৩১, মাহমুদুল হাসান জয় ৯ বলে ৭ ও আফিফ হোসেন ১০ বলে ৬ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। যার ফলে মাত্র ৯৯ রানেই ৬ উইকেট হারায় খুলনা।
৯৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জেসন হোল্ডার ও ওয়েইন পার্নেল। তবে এই জুটিও ব্যর্থ বেশিদূর এগোতে। দলীয় ১১২ রানে ওয়েইন পার্নেলের বিদায়ে ১৩ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
এই জুটি ভাঙার পর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি খুলনা। ১৯ ওভার ৫ বলে ১২৭ রানে অলআউট হয় খুলনা। যার ফলে ৬৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্র্রাম। আর ৬৫ রানের জয়ে রংপুরের পর প্লে অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম।
রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আল / দীপ্ত সংবাদ