দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। রবিবার (১২ মার্চ) বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।
এবারও বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুটি শর্তই বহাল রাখা হয়েছে। যদিও খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে শর্ত শিথিল করে তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুই শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মত দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত থাকবে।’
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে দুটি মামলায় তার কারাদণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের পর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তার মুক্তির মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হবে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এবারও ছয় মাসের জন্য তা বাড়ানোর সুপারিশ হলো।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেছিলেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়।
আফ/দীপ্ত সংবাদ