বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন করেন।
আবেদনে এবারো সাজা মওকুফ ও শর্ত শিথিল করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মতামতের জন্য আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। আইনি মতামতের পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেয়ার পর আবেদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।‘
গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ (ষষ্ঠ দফা) ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে তার মুক্তির মেয়াদকাল।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ষষ্ঠ দফা তা বাড়ানোর আবেদন করেছিল খালেদা জিয়ার পরিবার।
খালেদা জিয়ার দুটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। করোনা মহামারির শুরুতে দুটি শর্ত দিয়ে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। দুটি শর্তের মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ না যাওয়া। এরপর ছয়বার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
আফ/দীপ্ত সংবাদ