প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে, সমুদ্রসীমায় নিজেদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) সকালে কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন- সুনীল অর্থনীতির জন্য কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, দেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে- বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বিশেষ করে জলপথে চোরাচালান ও দস্যুতা রোধ এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে দেশ-বিদেশের জাহাজের নিরাপত্তায় প্রথমেই আসে এই বাহিনীর নাম। পর্যটকদের কাছেও আস্থার ঠিকানা কোস্ট গার্ড। সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এই বাহিনীর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুরে কোস্টগার্ডের নবনির্মিত স্টেশন।
পরে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাহিনীর ৪০ সদস্যকে সাহসিকতা ও সেবা পদক পরিয়ে দেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এগুচ্ছে সরকার। আগে এ দিকটি উপেক্ষিত ছিল। সমুদ্রে নিজেদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকারের প্রধান নির্বাহী।
সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের সদস্যরা অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে চলেছেন এজন্য প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সাল থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত কোস্টগার্ডের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের পোস্ট গার্ড আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে সমুদ্র সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি মাদক পাচার জলদস্যু দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। দারিদ্র্য কষাখাতে যেন কারো জীবন নষ্ট না হয়, সবাই যেন উন্নত জীবন পায় সেজন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি বলেও জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করছে বলে আবারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আল/দীপ্ত