কুষ্টিয়ায় আজ থেকে শুরু হয়েছে আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবস।
দিবসকে ঘিরে আয়োজিত তিন দিনের এই উৎসবে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত, সাধক ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণে।
এ বছর লালন উৎসব শুধু কুষ্টিয়ার আখড়াবাড়িতে নয়, এবার জাতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও দেশের ৬৪ জেলাতে উদযাপিত হবে।
লালন একাডেমি ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসব চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন থাকবে ভাবগান, আলোচনা, আলোকসজ্জা, বাউল গানের আসর এবং আখড়ার সাধুদের আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান। লালনের দর্শন, গান ও মানবতার বার্তা ধারণে উন্মুখ মানুষজন গান, ভাবগান, আলোচনা সভা আর আড্ডায় ভরিয়ে তুলবেন মেলার মাঠ।
আজ বিকেল ৪টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক ও গবেষক প্রফেসর গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। অন্য বক্তাদের মধ্যে থাকবেন বিশিষ্ট লেখক ফরহাদ মজহার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন। সভাপতিত্ব করবেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। উদ্বোধনী দিনে সদ্যপ্রয়াত লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনকে স্মরণ করে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হবে।
দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে (১৮ অক্টোবর) প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। প্রধান আলোচক থাকবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা কুতুব উদ্দীন ও প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন সরকার, এনসিপির জান্নাতুল ফেরদৌস টনি এবং গণ অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান।
সমাপনী দিনে (১৯ অক্টোবর) প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। মুখ্য আলোচক থাকবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের অধ্যাপক মো. খালেদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, বিজিবি ৪৭ সেক্টরের কর্নেল আহসান হাবীব এবং কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।