কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদিশিল্পের কারিগরদের ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে। এবার বাজারে আসছে খাদির নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক। কুমিল্লার খাদি বাজারগুলোতে দেশ–বিদেশ থেকে খুচরা ও পাইকরি ক্রেতারা আসছেন ।
ঈদকে সামনে রেখে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। সারাদিন তাদের কাজ চলতে থাকে।
খাদি কাপড়ের গুরুত্ব ফ্যাশন সচেতনদের কাছে সবসময়ই বেশি। ঈদ এলে এর চাহিদা বাড়ে দ্বিগুণ। এবারের ঈদে খাদির ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে বাজারে আসছে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক।
একজন খাদি ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনলাইনে এটার চাহিদা বাংলাদেশে কি পরিমান জনপ্রিয় তা লাস্ট এক দেড় বছর লক্ষ্য করলে বোঝা যায়।‘
একটা সময় ৩শ‘র বেশি তাঁতির কাপড় বোনার শব্দে মুখর থাকত জেলার দেবিদ্বার, চান্দিনা, মুরাদনগর উপজেলার ২০টিও বেশি গ্রাম। তবে পর্যাপ্ত কাঁচামালের অভাবে দিন দিন তা কমে গেছে। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি কারখানায় তৈরি হচ্ছে খাদি কাপড়।
একজন খাদি কারিগর জানান , ‘চান্দিনা যেই খাদি, সেটাই অরজিনাল, ঘরে ঘরে তাত ছিল রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমরা কাজ করতাম, এখন সমস্যা হইতেছে সুতা পাচ্ছিনা ভালো, তুলা পাচ্ছিনা ভালো।‘
খাদি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কারিগরদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘খাদির এই শিল্পে যারা জড়িত তাদের কে আমরা বাঁচিয়ে রাখা এবং তাদের এ শিল্প যাতে আরও বিকশিত হয় সে জন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাদের জন্যে যে লোনগুলো রয়েছে সেগুলো যাতে সহজ হয় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করবো’
সারাবছর চাহিদা কম থাকলেও পহেলা বৈশাখ আর ঈদের অপেক্ষায় থাকেন ব্যবসায়ীরা।
অনু/দীপ্ত সংবাদ