বিজ্ঞাপন
শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫
শুক্রবার, মে ২৩, ২০২৫

কুড়িগ্রামে বৃষ্টিতে ধসে গেছে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টির পানিতে ধসে গেছে দুধকুমার নদীর ডানতীর রক্ষা বাঁধ। বন্যার আগেই বাঁধে ধস দেখা দেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নশিরোনামে ২০২১ সালের ১০ আগস্ট একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬শ ৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা বিভিন্ন প্যাকেজে বর্তমানে জেলা পাউবোর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

সেই প্রকল্পের আওতায় ভূরুঙ্গামরী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নদী ভাঙন রোধে নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৫০০ মিটার তীর রক্ষা বাঁধের ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩৩ টাকা। ১৪ নং প্যাকেজের এ কাজটি পায় ঢাকার টি আইপিভিএলজেড আই জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ প্যাকেজের কাজটি ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুরু করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারে নাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মাঝে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পটির। কাজ শেষ না হতেই গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে ইসলামপুর সামাদের ঘাট এলাকায় বাঁধের ১২ মিটার অংশ ধসে নদীতে বিলিন হয়ে যায়।

কাজ শেষ হওয়ার আগেই এবং বন্যার শুরু না হতেই সামান্য বৃষ্টির পানিতে বাঁধ ধসে যাওয়ায় ভাঙনের আতংকে আছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালু তুলে সেই বালু দিয়ে ব্লক তৈরি করেছেন। সেই যথাযথ প্রক্রিয়ায় মিশানো হয়নি। বালু তোলায় বাঁধের নিচে মাটি না থাকায় সামান্য বৃষ্টির পানি গড়াতেই বাঁধ ধসে গেছে। এছাড়া মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের মনগড়া ভাবে কাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলে আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই সামান্য বৃষ্টির পানিতেই বন্যা আসার আগেই বাঁধ ধসে পড়েছে। দ্রুত তীর সংরক্ষণ বাঁধ মেরামত না করলে বন্যায় নদী ভাঙন তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

নদী থেকে বালু তোলা বিষয়টি স্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম জানান, তারা তীর থেকে নিয়ম অনুযায়ী ২০০ মিটার দূর থেকে বালু তুলেছেন। তবে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক তীররের নিকট থেকে বালু তোলায় বাঁধে ধসের দেখা দিয়েছে। ধসে যাওয়া স্থান মেরামত করা হচ্ছে। কাজের অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

কুড়িগ্রাম পাউবোর উপসহকারি প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাফিয়া আখতার জানান, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় দায়িত্ব তাদের। বাঁধের ধসে যাওয়া অংশের কাজ পুনরায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More