কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে মাছ শিকারে কাপ্তাই হ্রদে নেমেছে জেলেরা।
শুক্রবার( ১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মৎস্য অবতরণ ঘাটগুলোতে সারি সারি চাপিলা, কাচকিসহ নানা জাতের মাছের ড্রাম নিয়ে ভির করছে জেলের বোট। তবে যে কাপ জাতীয় মাছের প্রজনন এর জন্য ১৩২দিন মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে, সে কাপ জাতীয় মাছের তেমন একটা দেখা মেলেনি প্রথম দিনের শিকারে। আর ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে আহরণকৃত মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তুলছে ট্রাকে।
কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন বাড়াতে গত ২০ এপ্রিল থেকে তিন মাস বন্ধ ছিল কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার। কিন্তু এ বছর কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানিবৃদ্ধি না পাওয়ায় দু‘দফা বাড়ানো হয় নিষেধাজ্ঞা। যা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার মাধ্যরাতে।
ব্যবসায়ীরা প্রথমদিনে মাছের আকার ছোট দেখে হতাশ হলেও তারা আশা করছেন, পরবর্তীতে আশানুরূপ মাছ শিকার করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ১৩২ দিনের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জেলেদের।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, দীর্ঘ চার মাস ১২ দিন পরে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে হ্রদে মৎস্য আহরন, বিপনন ও সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। সকাল থেকে অবতরণ ঘাটগুলোতে বোটে করে মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা। এ বছর হ্রদের পানি থাকায় মৎস্য আহরণ আশানুরুপ হবে। এই দীর্ঘ বন্ধে জেলে ও ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে আমরা আশা করছি তাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবন চালায় প্রায় ২৬ হাজার জেলে।
মিশু দে/শায়লা/দীপ্ত নিউজ