সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে “জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে ভুয়া যোদ্ধা যাচাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ফাউন্ডেশনের ১০ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন‘। বিষয়টিকে ফাউন্ডেশনের ভাবমূর্তি নষ্টের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) কামাল আকবর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “জুলাই আন্দোলনের বীর যোদ্ধাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন, ত্যাগ ও আদর্শকে ধারণ করেই জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসন, সুচিকিৎসা ও সম্মানজনক সামাজিক পুনর্বাসনের লক্ষ্য নিয়ে ফাউন্ডেশনটি কাজ করছে।“
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, “ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম যখন দেশজুড়ে মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তখনই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছয় মাস আগের একটি ভুয়া জুলাই যোদ্ধা যাচাইয়ের ঘটনার উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।” এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম ও জাতির প্রত্যাশিত জুলাই সনদ উপস্থাপন যখন বাস্তব রূপ লাভ করতে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম ধারক এই ফাউন্ডেশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফাউন্ডেশন মনে করে, এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন‘ এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড ও মিডিয়া ট্রায়ালের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “২০২৪–এর গণঅভ্যুত্থানে নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের অধিকার রক্ষায় লড়াই করা যোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারদের নিয়েই গঠিত এই ফাউন্ডেশন। তাই এই ফাউন্ডেশনের কোনো সদস্য কোনোভাবেই নির্যাতন বা নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না।“
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফাউন্ডেশন আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। তাই মামলাটি স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। ফাউন্ডেশনের সকল সদস্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, সত্য, ন্যায় ও ন্যায্যতা অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা জানান, এ ধরনের অমানবিক কার্যক্রম চিরতরে নির্মূলে তারা সর্বদা বদ্ধপরিকর এবং এর বাস্তবায়নে ফাউন্ডেশন এর কোনো সদস্যকে কোনো প্রকার আশ্রয়–প্রশ্রয় প্রদান করে না ও করবেও না।