ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বিশ্ব মিডয়া গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। তবে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তাও সামনে চলে এসেছে।
আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ২০২৪ সালের ছাত্র–নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। ঢাকায় গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুব নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় পরিস্থিতি আরও অস্থির হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল হাদির।
ডয়চে ভেলেও হাদিকে নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। জার্মান সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
হাদি ভারতের একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয় ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুতকারী যুব আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও এ খবর প্রকাশ করেছে।