শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: সর্বশেষ সম্পাদনা:

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা তিনি এর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের পর বিমানবন্দর প্রান্তে টোল দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উঠেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তেজগাঁও কলেজের সামনের র‌্যাম্প দিয়ে নেমে তিনি যোগ দেবেন পুরনো বাণিজ্যমেলার সুধী সমাবেশে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষেই এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

রাজধানীর যানজট নিরসনে অনেক বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার, যার একটি হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ইতোমধ্যে মেট্রোরেলের মতো প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। এর ধারাবাহিকতায় আরেকটি মেগাপ্রকল্পের উদ্বোধন করা হচ্ছে।

আপাতত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের দিক থেকে ওঠা গাড়ি নামবে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড দিয়ে। আর ফার্মগেট প্রান্ত থেকে গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে বিজয় সরণি ফ্লাইওভার দিয়ে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলবে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১২ মিনিট। এই সড়কের কানেকটিভিটি মোট সাড়ে ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাড়ে ১১ কিলোমিটার মেইন ক্যারেজ, অর্থাৎ উড়াল সড়ক। সময় সাশ্রয় ও বাধাবিহীন যাতায়াতে সড়কটি বড় ভূমিকা রাখবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ সড়কে চার ক্যাটাগরিতে টোল আদায় হবে। ক্যাটাগরি ১এ থাকছে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) ও হালকা ট্রাক (তিন টনের কম); টোল ৮০ টাকা। ক্যাটাগরি ২এ থাকছে মাঝারি ট্রাক (ছয় চাকা পর্যন্ত), টোল ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি ৩এ থাকা ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) জন্য দিতে হবে ৪০০ টাকা। ক্যাটাগরি ৪এ সব ধরনের বাসের (১৬ আসন বা তার বেশি) টোল ১৬০ টাকা।

প্রসঙ্গত, ঢাকা শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে নির্বিঘ্ন ও দ্রুত সড়ক যোগাযোগ চালু করতে ২০০৯ সালে নেয়া হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। নির্মাণ চুক্তি হয় ২০১১ সালে। কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১০ বছর পর চালু হচ্ছে আংশিকভাবে। এর মধ্যে কয়েক দফা এর নকশা পরিবর্তন, ভূমি অধিগ্রহণ ও পিপিপি অংশীদারের অর্থের সংস্থান না হওয়াসহ নানা জটিলতায় এর নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা পেছানো হয় পাঁচবার। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকায়। এ ব্যয় আরও বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে ২৭ শতাংশ দেবে বিনিয়োগকারীকে।

আল/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More