রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখার পর গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসভবন অভিমুখে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
চারপাশে সাজানো, নিরাপত্তা, অস্থায়ী ছাউনি ও সিসিটিভি ক্যামেরা দেখাচ্ছে যে, বাড়িটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাস জীবন কাটনোর পর তারেক রহমান ফিরছেন এই ঠিকানায়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
এর আগে, সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে ও বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে সপরিবারে যাত্রা করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিমান সূত্র জানায়, ফ্লাইট বিজি–২০২ বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭–৯০০ উড়োজাহাজে করে আসেন তারেক রহমান। রুটটি লন্ডনের হিথ্রো–সিলেট–ঢাকার। এতে উচ্চপদস্থ যাত্রী থাকার কারণে বিমান পরিচালনায় বিশেষ সমন্বয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের জুলাই–৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) স্থাপিত গণসংবর্ধনা মঞ্চে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এরপর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে।
এরপর গন্তব্য গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি। গুলশানের এই ১৯৬ নম্বর বাড়ি কেবল একটি আবাস নয়, এটি জিয়া পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাসের অংশ।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর তৎকালীন সরকার বাড়িটি খালেদা জিয়ার জন্য বরাদ্দ করেছিল।
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িটির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে।