স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকের আশেপাশের এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ২০০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এতে দেশটিতে অচিরেই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (আইএমও) জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ফাগরাদশপিয়াচ পাহাড়ের নিচে। ফাগরাদশপিয়াচ একটি আগ্নেয়গিরির ওপর অবস্থিত। আগ্নেয়গিরিটি থেকে গত দুই বছরে দুই দফায় লাভা উদগিরণ হয়েছে ২০২১ এরপর ২০২২ সালে।
এক বিবৃতিতে আইএমও বলেছে, প্রায় ২ হাজার ২০০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিকের বেশি। এর মধ্যে বৃহত্তম ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রাজধানী অঞ্চলে।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও লাভার উদগিরণ দেখা যায়নি। তবে খুব শিগগিরই হয়তো উদগিরণ শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন।
ভূমিকম্পের ঘটনায় আইসল্যান্ডের আবহাওয়া সংস্থা তাদের অ্যাভিয়েশন সতর্কতা ‘সবুজ’ থেকে বাড়িয়ে ‘কমলা’ স্তরে উন্নীত করে। মূলত রঙের এই কোডটি বিমান শিল্পকে অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইউরোপের বৃহত্তম ও সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অঞ্চল হচ্ছে আইসল্যান্ড। দুই টেকটোনিক প্লেটের মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে আইসল্যান্ডে নিয়মিতই মৃদুমাত্রার ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ