ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগ বাংলাদেশ উপকূলে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজিজুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় বাগেরহাটের মংলা ও পটুয়াখালির খেপুপাড়া দিয়ে অতিক্রম করবে। ঘুর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ উপকূলে প্রবেশ করায় পটুয়াখালিতে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার আর মংলায় ৫৭ কিলোমিটার।’
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, উপকূলীয় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালী অতিক্রম করবে ঘুর্ণিঝড় রেমাল।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় আট থেকে নয় হাজার নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ