গাজার নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য ঈদ যেন আর আনন্দ নয়, বরং এক ভয়াবহ মৃত্যুর বার্তা। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন, শনিবার (৭ জুন) ভোর থেকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো অব্যাহত গোলা ও গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, খান ইউনিসের পশ্চিমাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে একই পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ১২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে ঈদের আগের দিন, শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গাজার বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ৪২ জন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র এবং আল জাজিরার খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ বন্ধ থাকায় ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। আনাদোলুর তথ্যমতে, গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ১১৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৫৮০ জনের বেশি। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন।
আনাদোলু আরও জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি ‘গণহত্যা অভিযানে’ এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৪ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে কয়েক লক্ষ। যুদ্ধের ভয়াবহতা, খাদ্য সংকট এবং চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে গাজা উপত্যকায় একপ্রকার ‘দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এই উপত্যকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।